নিজস্ব সংবাদদাতা
জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। ফলে পূজার আনন্দ মøান হয়ে যায়। পূজা মানেই আনন্দ, পূজা মানেই উৎসব। ধর্ম আলাদা হলেও উৎসব আর আনন্দ সবার। দুর্গাপূজা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ নানাভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রীতির মেলাবন্ধন রচনার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত শহরব্যাপী বয়ে গেছে আনন্দ-উৎসব আমেজ। কিন্তু প্রতি বছর বিজয়া দশমী বিষাদের ছায়া নিয়ে এলেও এ বছর লোডশেডিং এর কারণে নবমীর আমেজে পড়েছে বিষাদের রং। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাত ৮টার পরে শহরের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও অধিকাংশ এলাকা রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ বহির্ভূত। সরেজমিনে শহরের একাধিক মন্ডব ঘুরে দেখা যায়, প্রতি বছর এ দিনে শহরের মন্ডপেমন্ডপে হৈ হুল্লোড় থাকলেও এ বছর নবমী যেন পুরোই নিস্তব্ধ। আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কগুলোতে আলো নেই। গান-বাজনার আয়োজন থাকলেও বিদ্যুৎ এর অভাবে সব বন্ধ। অন্যদিকে যারা মন্ডপে ঘুরতে এসেছেন তারাও ভ্যাপসা গরমের ভোগান্তি এড়াতে দ্রæত বাড়ি যাচ্ছেন। আমলাপাড়া এলাকায় অনিক দাস বলেন, প্রতিবছর নবমীর দিনে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়। মন্ডপেমন্ডপে এতো মানুষ হয়, হাঁটার জায়গা থাকে না। মানুষ বেশি হলেও আনন্দ হয়। কিন্তু সেই তুলনায় এ বছর মন্ডপে মানুষই নাই। কারেন্ট নাই, চারিদিকে অন্ধকার, কারোই ভালো লাগে না। সবাই চলে যাচ্ছে। টানবাজার এলাকায় মিতু চক্রবর্তী বলেন, পূজায় নবমীর রাতে ঘোরাঘুরি করতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু এবছর অন্ধকারে সব আনন্দ ¤øান হয়ে গেছে। দুইটা মন্ডপে গিয়েছিলাম। কোন গান বাজনা নেই। ভালো লাগছে না, কিছুক্ষণ পরে চলে যাবো। কারেন্ট গিয়ে পূজার আনন্দ টাই নষ্ট করে দিলো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।